Ad 728x90

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০

সে কি আসবে কাল -সেখ নুরুল হুদা

সে কি আসবে কাল -সেখ নুরুল হুদা

কাব্য ও কবিতায়
                         সেখ নুরুল হুদা

আমার নিজস্ব কবিতায় সাজাবো কাব্য বাগান
যেখানে মরমী গানের সুরে আসে বিপ্লব,
যেখানে পুঁজিবাদের দ্বারে ছুয়ে যায় সংগ্রাম
            আমৃত্যু কাল।

আমার প্রেম বাসরের স্বপ্ন, অভিমান
যেখানে জন্ম নিয়েছে কুশ আর লব;
যেখানে আদা শহুরের প্রতিটি গ্রাম
     জ্যোৎস্না-রাতের কাঙাল।

আমার সুসংহত কাব্য অভিযান
যেখানে তামিল সাহিত্য পেল "কুরাল" পল্লব;
যেখানে প্রাকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-নাম
      থাকবে অনন্ত কাল।

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০

ভাষা -জসিম উদ্দী

ভাষা -জসিম উদ্দী













"ভাষা "
জসিম উদ্দীন 

ওরা চেয়েছিল মায়ের, ভাইয়ের ভাষা কেড়ে নিবে
ওরা বলেছিল উর্দূ হবে বাংলার রাষ্ট্র ভাষা,
ওরা তাও করতে পারে নি, কেননা আমরা বিজয়ী জাতি বাঙালি মোদের নাম।  
আমি ৫২ দেখিনি, দেখছি তাদের লেলিহাম শিখার কিছু খন্ড চিত্র..
বিবর্ণহীন মৃতপ্রায় শরীরে আত্মচিৎকার ওরা কারা, ওরা কারা, 
আমি বলি ওরা পাকসেনা, ওরা রাষ্ট্রদ্রোহী, ওরা কালসাপ।
আমি এখনোকি ভাবি ৭১ সেই, কালোরাত্রির কথা যেদিন তারা ভূস্বর্গের অপেক্ষা করছিল ভোরের..
কিন্তু তারা আর দেখিনি সেদিনকার ভোর..
আমি ভাবি ২ লক্ষ মা বোনকার কথা তারা কি মুখ দেখেয়েছিল এই স্বাধীন বাংলায়..
নাকি!  মিশে গিয়েছিল সবুজ বাংলায়?
আমি ত বলি ৩০ লক্ষ বীর শহীদের কথা তারাও ত করেছিল বেঁচে থাকার আর্তনাদ?  
আজ তাদের দাম কোথায়!  কোন এক দুই দিবসে তাদের স্মরণ করলেই কি হয় সম্মান?
আমি বলি আমরা স্বাধীন সমাজে এখনো পরাধীনতার নগরে বসে!  তাদের স্মরণ করছি
ভালো থেকো, বীর যোদ্ধাগন, ভালো থেকো ২ লক্ষ মা বোন।
ভালো মনুষ্যত্বের অভাব -তুলি চৌধুরী

ভালো মনুষ্যত্বের অভাব -তুলি চৌধুরী















ভালো মনুষ্যত্বের অভাব
তুলি চৌধুরী যা কিছু আমার প্রাপ্য, তা থেকে বরাবরই বঞ্চিত হই। এই সাধারণ আমিটা। জানিনা সৃষ্টিকর্তার কোন ইশারা কিনা! তবে মানুষ নামক প্রাণী গুলো খুবই স্বার্থপর, এক কথায় তুলনাহীন মানবজাতি।। এই মানব কুলে কখনো স্বার্থ ছাড়া পা' দিতে দেখিনি। কিছুসংখ্যক স্বার্থপর মানব নামের প্রাণীকে, যাদের জন্য বিনা স্বার্থে লড়ে গেলাম। সবার আগে তারাই নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে ব্যস্ত,
এটি মনে হয় মানুষের বড় বৈশিষ্ট্য। খুবই আশ্চর্য হই তাদের দেখে যারা বিনা স্বার্থে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কোন একদিন কিন্তু দিন শেষে তারাও রং বদলায় । স্বার্থপরদের মতোই বদলে যায়। বিনা স্বার্থে যত শ্রম দিয়েছি। সব আজ শূন্যের খাতায় সীমাবদ্ধ। নাম কুড়াতে কেউ আজ পিছিয়ে নেই । আমি অধম নিজের স্বার্থটা আজও বুঝলাম না। আজও বুঝলামনা স্বার্থহীন মানুষ খুব কম সংখ্যক আছে । ছায়ার মত যাদের মাথায় ছাতি হয়েছিলাম। সবার আগে তারাই ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়ে গেছে। এই সাধারন মেয়েটিকে। ভালো থেকো আমার স্বার্থপর মানুষগুলো। আমি থেমে যাইনি কখনোই যাবো না। সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নিজে আমার পাশে আছেন। আজ পর্যন্ত তিনি আমায় খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। শুকরিয়া আদায় করি আমি আমার রবের কাছে।
শতবর্ষের মুজিব নামা - ডা.মিজান মাওলা

শতবর্ষের মুজিব নামা - ডা.মিজান মাওলা


শতবর্ষের মুজিব নামা -
কবি ডা.মিজান মাওলা। রচনা কাল- ২১/০১/২০ ইং
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, শত বছরে একধাপ আগালি। কিযে তারুণ্য তোমার বুলি, তোমার ডাকে আজো চলি। তুমি শ্রেষ্ঠ সংগ্রামী নেতা, তুমি বাঙালি জাতির পিতা। তুমি ক্ষণগণনা সূর্য পুরুষ, তুমি আমার প্রাণের মানুষ। তোমার চেতনায় জাগ্রত বাঙালি, তোমাকে নিয়ে বিশ্বদরবারে বলাবলি। তোমার প্রেরণায় উজ্জীবিত বাঙালি, তোমার আহ্বানে স্বাধীন সোনালী। তুমি আজ আমাদের নয়নমণি, তুমি আত্মসম্মানে বিশ্ব ধনী। তুমি রক্তাক্ত বাংলাদেশের মানচিত্র, তুমি মায়ের ভাষার বৈচিত্র্য। তুমি দুর্নীতি মুক্ত গণমানুষের আওয়াজ, তুমি বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান শাহনেওয়াজ। তোমার জন্মের শতবর্ষে মুজিব নামা আমার কবিতা, তোমার আত্মজীবনী বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ভুখন্ডের দুর্জয়ের স্বাধীনতা।

জনম নিয়ে আসবো আবার
                          রমানাথ নিশি


আবার আমি আসবো ফিরে
সময় যখন হবে,
চিরজীবন তোমার কথা
মনের ঘরে রবে।

কাজের খোঁজে গেলাম দূরে
আনতে কিছু টাকা,
বন্ধু তুমি ভালো থেকো
থাকছি আমি ঢাকা।

দিবানিশি দু'জন মিলে
কতই কথা হতো!
মায়ার বাঁধন ছাড়তে হলো
বক্ষে নিয়ে ক্ষতো৷

দশটি বছর কেটে গেলে
আসবো ফিরে গাঁ'য়ে!
নিজের জীবন ধন্য হবে
দাঁড়াবো নিজ পা'য়ে।

ততদিনে আমার আশায়
থেকো পথের পানে,
জীবন দিয়ে বাসি ভালো
এই হৃদয় তো জানে।

মনের কথা বলব কারে
কেউ থাকে না পাশে!
শত ব্যথায় দিন কাটে গো
তোমায় পাবার আশে!

তোমায় পাবার আগেই যদি
মরণ এসে ধরে,
জনম নিয়ে আসবো আবার
এই ধরণির 'পরে৷ 
বঙ্গবন্ধু -রুবেল খান

বঙ্গবন্ধু -রুবেল খান

বঙ্গবন্ধু রুবেল খান কালে কালে কালোত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ বজ্রকণ্ঠ, তোমারই অবদানে স্বাধীন ভূখন্ড। তুমি হুংকার দিয়ে তুলেছিলে ঝড়, পাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কে আপন পর। তুমি জনতার পক্ষে সত্যের নিশান, সাত কোটি বাঙালির বিজয়ের গান। ভয় নেই উচ্চ শির জয় হিমাদ্রীর, তুমি চলনে বলনে রাজ রাজশ্রীর। তুমি পাকের আতঙ্ক;কারাবন্দী বন্ধু, নাকে লাশ পোড়া গন্ধ চারদিক ধূধূ। নারীর সম্ভ্রমহীন কেঁপে উঠে বুক, সবখানে ভরে গেছে হারানোর শোক। সবাইকে জড়ো করে হাতে রেখে হাত, মুক্ত চায় পরাধীন ভুলে সব জাত। অস্ত্রহীন জনগণ মনোবল মন, একতায় মুক্তি আছে এই ছিল পণ। বিদেশি সুযোগ ভোগ পেয়ে সাধ্য মতো, কেটে যায় কষ্ট আর দুখ ছিল যত। যুদ্ধে যায় সবে মিলে জন্ম বাংলায়, নতুন স্বপ্ন দু'চোখে আপ্রাণ চেষ্টায়। সবাই যুদ্ধে সৈনিক ছিল না অধীন, সত্যের বিজয় হলো বাংলা স্বাধীন। ইতিহাস লিখে রাখে ভুলে না তো বিন্দু, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি বঙ্গবন্ধু।
ষড়ঋতুর দেশ- সাইমা সাদিয়া

ষড়ঋতুর দেশ- সাইমা সাদিয়া












ষড়ঋতুর দেশ

             সাইমা সাদিয়া

ঋতুর সেরা বাংলাদেশ
ধরেছে তার নানা বেশ।
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মিলে হয় গ্রীষ্ম
গ্রীষ্ম আসে গরম নিয়ে
তার তাপাতে কাঁঠাল পাকে।
আষাঢ়-শ্রাবণ নিয়ে আসে বর্ষা
বর্ষা সাজে কালো মেঘ,
ঝরায়ে স্রোতের ধারা।
ভাদ্র-আশিন নিয়ে হয় শরৎ
শরৎ আসে মেঘলা মনে
চুপটি আকাশ নিয়ে।
কার্তিক অগ্রাহণ মিলে হয় হেমন্ত
হেমন্ত তো শান্ত ছেলে
শান্ত থাকে তার বাতাসে।
পৌষ আর  মাঘ মিলে আসে শীত
শীত আসে ভাই কাঁপনি মেরে
গরম ভাপা পিঠা খেতে
ফাল্গুন-চৈত্র মিলে হয় বসন্ত

ঋতুরাজ সে তার রূপের ছন্দে।
কোকিলের গান, সিগ্ধ বাতাস
ফুলের সুবাস কিছুই যেস যায় না বাদ।
সবকিছুকেই লাগছে ভালো
কেউ করোনা মনটি ছোট।